Thursday, April 12, 2018

দখলদারির মেয়াদ কত দিনের হিসাব চাইতে মুখিয়ে রয়েছে ক্ষুব্ধ গ্রাম। গ্রামের পথেই আলতা দিয়ে হাতে লেখা পোস্টারে কড়া সওয়াল ‘ভোটার কার্ডগুলো দিয়েছিলি তবে কিসের লাইগ্যা?’ এখনও পূর্ণ মেয়াদ ফুরোয়নি বীরভূমের রামপুরহাট-১ ব্লকের মাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের। সেই বকেয়া মেয়াদের জোরেই এখানে তৃণমূলকে আজও দূরবিন দিয়েই খুঁজতে হয়। দশ সদস্যের নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ছাপ লাগা সদস্য মোটে এক। বাকি ৯জনই বামফ্রন্টের। এমন গ্রাম পঞ্চায়েতের গায়ে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে শাসকদলের ওকালতিতে ‘বিরোধীহীন’। যা ছিল তৃণমূলহীন, পুলিশ-লেঠেল-শাসক দুষ্কৃতী যোগসাজসে তাই এখন ‘বিরোধীহীন’ তকমা এঁটেছে। বুধবার এই মাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নিরিষা গ্রামে পা রাখতেই টের পাওয়া গেল মানুষের ক্ষোভ। পাথর খাদান আর ক্র্যাশারের রুজিতে চেপে দিনভর ধুলো-মাটি মেখে যে গরিবের হদ্দ নিরিষা গ্রাম দিন আনে দিন খায় সেই গ্রামেই রাজ্যের শাসকদলের বিরোধী মুখ আদৌ রয়েছে কিনা খুঁজতেই ক্ষোভের গর্ভে তলিয়ে যাওয়া। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে পার্বতী কিসকু, সুকী বেসড়া, গুরুদাস বেসরারা স্পষ্ট শুধোলেন তবে আমাদের ঘরে এই ভোটার কার্ডের কী দাম বলুন তো? কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়েও ছেলেমেয়ে চাকরি পায় না, রেশনে চাল, গম, কেরোসিন মেলে না। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার এসে একশো দিনের কাজেও থাবা বসিয়েছে। এমন যন্ত্রণার জবাব দিতে অন্তত একবার এই ভোটার কার্ডের সদ্ব্যবহার করবো তার সুযোগও তো রাখল না।

গণশক্তি