Thursday, April 5, 2018

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়ার শুরুতেই যেভাবে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে, তা রুখতে অবিলম্বে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি জানালো রাজ্য বামফ্রন্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার শুরুর দিন থেকে বিরোধী প্রার্থীদের ওপর বেপরোয়া আক্রমণ, মারধর করা, বি ডি ও অফিস ঘিরে রাখা, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না দেওয়া, মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে দিয়ে শাসকদলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে দেশের সাংবিধানিক অধিকার। বুধবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আক্রান্ত সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। পরে রাজভবন থেকে বের হয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে পছন্দ-অপছন্দের প্রার্থীদের বেছে নেন মানুষ। সংবিধান সেই অধিকার দিয়েছে। প্রার্থীরা যদি মনোনয়নপত্রই জমা দিতে না পারেন তাহলে মানুষ কিভাবে পছন্দ-অপছন্দের প্রার্থী বাছবেন? মানুষ যদি প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনী অধিকার না পান তাহলে সংবিধান আক্রান্ত হয়। তাই রাজ্যপালকে সংবিধান রক্ষায় হস্তক্ষেপের দাবি রাজ্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যপালের সক্রিয়তা নিয়ে শাসকদল যে অভিযোগ করেছে তা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তার প্রতিক্রিয়ায় বিমান বসু বলেছেন, সংবিধানের কোনো ধারা যদি আক্রান্ত হয়, মানুষের অধিকার যদি ক্ষুণ্ণ হয় তাহলে সংবিধান রক্ষায় রাজ্যপালের ভূমিকা থাকে। তাই সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কিনা, সাংবাদিকরা তা জানতে চাইলে বিমান বসু বলেছেন, পুলিশ প্রশাসন যদি না পারে, রাজ্যের নির্বাচন কমিশন যদি ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে থাকে, তাহলে অবাধ নির্বাচন কীভাবে হবে? ২০১৩সালে ঠিক একই অবস্থা হয়েছিল। তখন রাজ্য প্রশাসন চাইলেও, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মানেনি। তাই তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিলেন। বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে এইসব পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে।

গণশক্তি