Wednesday, April 11, 2018

ক্ষণে ক্ষণে ঘটনাবলী নতুন নতুন মোড় নিচ্ছে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে। ১২ঘণ্টার মধ্যে ডিগবাজি খেলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিং। সোমবার রাতে সাড়ে নটায় তিনি নোটিফিকেশন করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা একদিন বাড়ানো হলো, মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে তিনিই ফের আরেকটি নোটিফিকেশন জারি করে জানিয়ে দিলেন আগের নির্দেশ বাতিল, মনোনয়ন আর জমা নেওয়া হবে না। এরপর বিকালের আগেই কলকাতা হাইকোর্ট আবার স্থগিতাদেশ জারি করে দিয়েছে সর্বশেষ এই বাতিলের নির্দেশিকার ওপরে। নির্বাচন কমিশনারের এই ডিগবাজির কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যাচ্ছে রাজ্য সরকার এবং শাসকদল ফের পুরানো ঘৃণ্য কৌশলই ব্যবহার করেছে। আড়াই বছর আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়ের অফিসে তাঁকে ঘিরে রেখে রাজ্যের মন্ত্রীরা এমন চাপ সৃষ্টি করেছিলেন যে সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায় ‘মানসিক যন্ত্রণা’-র কথা জানিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার সাতসকালে বর্তমান নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিং ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছেন রাজ্যের চার মন্ত্রী। তাঁরা কীভাবে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন তা নির্বাচন কমিশনার নিজ মুখে বলেননি ঠিকই, কিন্তু এর পরেই সকাল নটায় তিনি কমিশন অফিসে চলে আসেন। তার আধঘণ্টার মধ্যে জেলাশাসক এবং পুলিশসুপারদের কাছে তাঁর নতুন নির্দেশিকা পৌঁছে যায়। যাতে বলা হয়েছে, আগের রাতের নির্দেশিকা বাতিল। রাজ্য সরকার ও শাসকদলের দাবি মেনেই তিনি যে সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশ বাতিল করছেন তা স্পষ্ট ভাষায় নতুন নির্দেশিকাতেও উল্লেখ করে দিয়েছেন অমরেন্দ্রকুমার সিং। তৃণমূলনেতা কল্যাণ ব্যানার্জি এবং রাজ্য সরকারের একজন বিশেষ সচিবের আপত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে এদিনের নির্দেশিকায়। অর্থাৎ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বা স্ববিবেচনায় সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিল নির্বাচন কমিশন করেনি।

গণশক্তি